ডাব-দুধের পুডিং: গরমে ঠান্ডা এক স্বাদ! | Coconut Milk Pudding

 Dab o Dudher Pudding

স্বাদিষ্ট এবং পুষ্টিকর এই ডাব দুধের পুডিং: ডেজার্টটি তৈরি করা খুবই সহজ। আজকে আমরা আপনাদের জন্য এনেছি আগার আগার পাউডার দিয়ে তৈরি ডাব-দুধের পুডিং এর একটি সুস্বাদু রেসিপি।

ডাবের পুষ্টিগুণ

ডাব শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

পানিশক্তি: ডাবের পানি শরীরে পানিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
খনিজ পদার্থ: ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন: ডাবের পানিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ডাবের পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মুক্ত র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
পচনশীল ফাইবার: ডাবের পানিতে পচনশীল ফাইবার রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ডাবের পানি বিশেষ করে গরমের দিনে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

উপকরণ:

  • ১ লিটার দুধ
  • ১টি ডাবের গুঁড়ো (প্রায় ১ কাপ)
  • ১/২ কাপ চিনি (বা স্বাদ অনুযায়ী)
  • ১ টেবিল চামচ আগার আগার পাউডার
  • ১/৪ কাপ পানি
  • কাজু-বাদাম (সাজানোর জন্য)

রন্ধনপ্রণালী:

স্টেপ বাই স্টেপ জানতে ভিডিওটি দেখুন

১. আগার আগার প্রস্তুত করা: একটি ছোট পাত্রে আগার আগার পাউডার এবং পানি মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। 

২. দুধ গরম করা: একটি বড় পাত্রে দুধ নিয়ে গরম করুন। দুধ ফুটতে শুরু করলে আগার আগারের মিশ্রণটি দুধে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। 

৩. চিনি ও ডাবের গুঁড়ো যোগ করা: দুধে চিনি ও ডাবের গুঁড়ো যোগ করে কম আঁচে নেড়ে চেড়ে ঘন করে নিন। 

৪. ঠান্ডা করা: মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি ফ্রিজে রেখে দিন। 

৫. সাজানো: ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমতো কাজু-বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আপনার সুস্বাদু ডাব-দুধের পুডিং তৈরি।

আগার আগারের অন্যান্য ব্যবহার

আগার আগার শুধু ডেজার্টই নয়, রান্নার অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এর জেলাটিন জাতীয় গুণের জন্য এটি একাধিক খাবারে ব্যবহার করা হয়।

  • ভেজান জেলি: আগার আগার দিয়ে বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে ভেজান জেলি তৈরি করা যায়। এটি শীতল পানীয় হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
  • ভেজিটেরিয়ান জেলো: মাছ বা মাংসের জেলোর বিকল্প হিসেবে আগার আগার ব্যবহার করে ভেজিটেরিয়ান জেলো তৈরি করা যায়।
  • বেকিং: কেক, মফিন, ব্রাউনি ইত্যাদি বেকিংয়ের সময় আগার আগার ব্যবহার করে খাবারকে আরও ঘন করা যায়।
  • স্যুপ: স্যুপকে ঘন করতে আগার আগার ব্যবহার করা হয়। এটি স্যুপকে একটি ভিন্ন টেক্সচার দেয়।
  • ক্যান্ডি: বিভিন্ন ধরনের ক্যান্ডি তৈরিতে আগার আগার ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যান্ডিকে একটি স্বচ্ছ এবং স্থিতিস্থাপক টেক্সচার দেয়।

FAQ:

  • আগার আগার কী? আগার আগার একটি প্রাকৃতিক জেলাটিন যা সাগরের শৈবাল থেকে তৈরি। এটি ভেজাল মুক্ত এবং শাকসব্জি খাদকদের জন্য উপযুক্ত।
  • আমি ডাবের গুঁড়োর পরিবর্তে তাজা ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারি? হ্যাঁ, আপনি তাজা ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাজা ডাবের পানি ব্যবহার করলে পুডিংটি আরও পাতলা হতে পারে।
  • আমি পুডিংটি আরও মিষ্টি করতে পারি? হ্যাঁ, আপনি চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে পুডিংটি আরও মিষ্টি করতে পারেন।
  • পুডিংটি কতক্ষণ ফ্রিজে রাখা যাবে? পুডিংটি ৩-৪ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যাবে।
  • আমি পুডিংটি অন্য কোন ফ্লেভারে তৈরি করতে পারি? হ্যাঁ, আপনি পুডিংটি অন্য কোন ফ্লেভারে তৈরি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এতে কেশর, ইলাইচি বা ভ্যানিলা যোগ করতে পারেন।

আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারাও এই সহজ রেসিপিটি অনুসরণ করে বাড়িতে তৈরি করে দেখতে পারেন। খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠুন!

#ডাবদুধেরপুডিং #রেসিপি #বাংলারেসিপি #আগারআগার #ডেজার্ট


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url