মিষ্টি দই: স্বাদে মিষ্টি, গুণে স্বাস্থ্যকর ।। Misti Doi (Curd) Recipe
ইতিহাস
মিষ্টি দই, বিশেষ করে
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, একটি জনপ্রিয় দুগ্ধজাত খাবার। এর উৎপত্তি সম্পর্কে
সঠিক কোনো ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়, দুধের উপর
চিনি এবং দইয়ের বীজ মিশিয়ে এই মিষ্টি জাতীয় দই তৈরির প্রথা প্রাচীন কাল থেকেই
চলে আসছে। গ্রামীণ বাংলায় গরুর দুধ থেকে তৈরি এই দইটি বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে খুব
জনপ্রিয়।
উপকারিতা
মিষ্টি দই শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে
রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এর কিছু উপকারিতা হলো:
- প্রোটিনের উৎস: দুধের
মতো মিষ্টি দইও প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। প্রোটিন শরীর গঠনে এবং মেরামত করতে
সাহায্য করে।
- ক্যালসিয়ামের ভান্ডার: দুধের মতো মিষ্টি দইয়েও প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করে।
- পেটের সমস্যা দূর করে: মিষ্টি দইতে উপস্থিত ল্যাক্টিক অ্যাসিড পেটের
ভালো ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে দিয়ে পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মিষ্টি দইয়ে উপস্থিত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বাড়ায়: মিষ্টি দই হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
প্রস্তুতপ্রণালী
মিষ্টি দই তৈরি করা খুবই সহজ।
নিচে একটি সহজ প্রণালী দেওয়া হলো:
উপকরণ:
- ১ লিটার গরুর দুধ
- ১০০ গ্রাম চিনি
- ১ টেবিল চামচ দইয়ের বীজ
প্রণালী:
- একটি পাত্রে দুধ নিয়ে চুলোয় রেখে গরম করতে হবে।
- দুধ যখন হালকা গরম হয় তখন চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
- দুধ ঠান্ডা হয়ে গেলে দইয়ের বীজ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিতে হবে।
- ৮-১০ ঘন্টা পর মিষ্টি দই তৈরি হয়ে যাবে।
FAQ
- মিষ্টি দই কতদিন খাওয়া যায়?
- ফ্রিজে রাখলে মিষ্টি দই ৫-৭ দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়।
- মিষ্টি দই সকালে খাওয়া ভালো না রাতে?
- মিষ্টি দই সকালে খাওয়া ভালো। কারণ এতে শরীরে শক্তি যোগায় এবং দিনভর কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে।
- মিষ্টি দই সবাই খেতে পারে?
- ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা দুধের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের মিষ্টি দই খাওয়া উচিত নয়।
মনে রাখবেন:
- মিষ্টি দই খুবই পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত মিষ্টি দই খাওয়া উচিত নয়।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মিষ্টি দই খাওয়া উচিত নয়।
আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হবে।