১ কাপ গুড়া দুধ দিয়ে ১/২ কেজি ৩ কালারের বেবি সুইট (টিপসসহ) |। Baby Sweets Recipe
বেবি
সুইট: তিন রঙের মিষ্টির রেসিপি ও উপকারিতা
বেবি সুইট একটি জনপ্রিয় মিষ্টি, যা তিনটি প্রাকৃতিক রঙে তৈরি করা হয়। রঙিন মিষ্টির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে, বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে। আজকের এই রেসিপিতে আমরা কোন কৃত্রিম রঙ ব্যবহার না করে, ভিন্ন ভিন্ন আঁচের মাধ্যমে প্রাকৃতিক রঙের মিষ্টি তৈরি করব।
উপকরণ:
১. গুড়ো দুধ - ১ কাপ
২. সুজি
- ১/২
কাপ
৩. ময়দা
- ১/৪
কাপ
৪. বেকিং
পাউডার - ১ চা
চামচ
৫. তরল
দুধ - ১/২
কাপ
৬. চিনি
- ১
কাপ
৭. ঘি - ১/২ কাপ
৮. এলাচ
– ৩/৪টি (গুঁড়ো করা)
৯. কেওড়া
জল - ১ চা
চামচ
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপ ১: মিশ্রণ তৈরি
- · প্রথমে একটি পাত্রে গুড়ো দুধ, সুজি, ময়দা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন।
- · এতে ধীরে ধীরে তরল দুধ যোগ করুন এবং ভালো করে মেশান, যাতে মসৃণ ব্যাটার তৈরি হয়।
ধাপ ২: চিনির সিরা তৈরি
- · অন্য একটি পাত্রে চিনি এবং ১ কাপ পানি দিয়ে চুলায় রাখুন।
- · চিনির সিরা তৈরি করতে এটি মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন।
- · সিরা ঘন হয়ে আসলে তাতে এলাচ গুঁড়ো এবং কেওড়া জল যোগ করুন।
ধাপ ৩: মিষ্টি ভাজা
- · এখন এই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন।
- · একটি কড়াইতে ঘি গরম করুন।
- · প্রথমে হালকা আঁচে কিছু বল ভাজুন, যা হালকা রঙের হবে।
- · এরপর মাঝারি আঁচে ভাজুন, যেগুলো একটু গাঢ় রঙের হবে।
- · শেষে, উচ্চ আঁচে ভাজুন যাতে গাঢ় রঙের বল তৈরি হয়।
- · তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের মিষ্টি বল তৈরি হয়ে গেলে, সবগুলোকে চিনির সিরায় ডুবিয়ে দিন।
ধাপ ৪: পরিবেশন
- · সিরা ভালোভাবে মিষ্টির মধ্যে প্রবেশ করলে, সিরা থেকে তুলে নিন এবং পরিবেশন করুন।
উপকারিতা:
১. প্রাকৃতিক রঙ: এই মিষ্টিতে কোন কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয় না, যা স্বাস্থ্যসম্মত।
2. এনার্জি প্রদানকারী: এতে প্রচুর পরিমাণে দুধ এবং সুজি রয়েছে, যা শরীরে এনার্জি প্রদান করে।
3. এলাচের উপকারিতা: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মসলা, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
4. স্বাস্থ্যকর ঘি: ঘি ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রাচীনকাল থেকেই পুষ্টির জন্য পরিচিত।
FAQ
প্রশ্ন ১: বেবি সুইট কি বাচ্চাদের জন্য উপযোগী?
উত্তর: হ্যাঁ, বেবি সুইট বাচ্চাদের জন্য উপযোগী কারণ এতে কোন কৃত্রিম রঙ বা সংরক্ষণকারী ব্যবহার করা হয় না।
প্রশ্ন ২: এই মিষ্টি কতক্ষণ সংরক্ষণ করা যায়?
উত্তর: এই মিষ্টি প্রায় ৩৪ দিন ভালো থাকে, তবে ফ্রিজে রাখলে আরও বেশিদিন ভালো থাকতে পারে।
প্রশ্ন ৩: কেওড়া জল কি বাদ দেওয়া যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, কেওড়া জল বাদ দিলে মিষ্টির স্বাদে কিছুটা পার্থক্য আসতে পারে, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
এই রেসিপিটি সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদে ভরপুর। আপনি এটি সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে পারেন এবং পরিবারের সকলের জন্য উপভোগ্য করতে পারেন।