মলা মাছের পুষ্টিগুণ ও রান্নার রেসিপি
![]() |
মলা মাছ |
মলা মাছের পুষ্টিগুণ:
মলা মাছ একটি পুষ্টিকর মাছ যা প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। মলা মাছে রয়েছে প্রচুর ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এছাড়া মলা মাছে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়ামও বিদ্যমান, যা চোখের স্বাস্থ্য ও হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
1. প্রোটিন: মলা মাছ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা শরীরের কোষ গঠনে সহায়তা করে।
2. ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মলা মাছ হৃদযন্ত্র এবং রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
3. ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস: মলা মাছ হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে।
4. ভিটামিন এ: মলা মাছ চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক।
5. লোহা: মলা মাছ শরীরে হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে।
উপকরণঃ
1. মলা মাছ - ২৫০ গ্রাম
2. টমেটো - ২টি (মাঝারি আকারের)
3. পেঁয়াজ - ২টি (মাঝারি আকারের)
4. কাঁচামরিচ – ৪/৫টি
5. রসুন পেস্ট - ১ টেবিল চামচ
6. হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
7. মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
8. জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
9. ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ
10. সয়াবিন তেল - ৩ টেবিল চামচ
11. লবণ - স্বাদমতো
12. ধনে পাতা - ২ টেবিল চামচ (কুচি করা)
রান্নার পদ্ধতি:
1. মলা মাছ পরিষ্কার করা:
মলা মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে লবণ এবং সামান্য হলুদ মাখিয়ে ১০১৫ মিনিট রেখে দিন।
2. টমেটো পেঁয়াজ কাটা:
পেঁয়াজ ও টমেটো গুলো কুচি করে রাখুন। কাঁচামরিচ গুলো মাঝখানে ফালি করে দিন।
3. তেল গরম করা:
একটি কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করুন। তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন।
4. মসলা যোগ করা:
পেঁয়াজ সোনালী হয়ে গেলে এতে রসুন পেস্ট, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে ২৩ মিনিট ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
5. টমেটো এবং মাছ দেওয়া:
মসলা কষানো হলে টমেটো এবং কাঁচামরিচ যোগ করুন। টমেটো নরম হলে মলা মাছ দিয়ে হালকা করে নেড়ে নিন।
6. পানি দেওয়া এবং সেদ্ধ করা:
মাছের সঙ্গে পানি দিন যাতে মলা মাছ ঠিকমতো সেদ্ধ হতে পারে। পানি দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ১০১৫ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।
7. ধনে পাতা যোগ করা:
রান্না শেষ হওয়ার ২৩ মিনিট আগে কুচানো ধনে পাতা যোগ করুন এবং আরো ২ মিনিট রান্না করে নিন।
8. পরিবেশন:
রান্না শেষে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
FAQ:
১. মলা মাছের রেসিপি কি শুধু ভাতের সাথে ভালো লাগে?
হ্যাঁ, মলা মাছের ঝোল সাধারণত ভাতের সাথে খেতে বেশি মজা লাগে, তবে আপনি চাইলে রুটি বা পোলাও এর সাথেও পরিবেশন করতে পারেন।
২. মলা মাছ রান্নায় কোন ধরণের তেল ব্যবহার করা ভালো?
সয়াবিন তেল সাধারণত ব্যবহার করা হয়, তবে আপনি চাইলে সরিষার তেলও ব্যবহার করতে পারেন যা মাছের স্বাদকে বাড়িয়ে তুলবে।
৩. মলা মাছ কি শীতের সময় বেশি পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, মলা মাছ সাধারণত বর্ষা এবং শীতের মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়, তবে এখন সারাবছর বাজারে পাওয়া যায়।
৪. মলা মাছ কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, মলা মাছের পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে কারণ এতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে।
৫. মলা মাছের ঝোল কতক্ষণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়?
মলা মাছের ঝোল ২৩ দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, তবে পুনরায় খাওয়ার আগে গরম করে নিতে হবে।
এই রেসিপিটি সহজ ও স্বাস্থ্যকর, যা আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে পুষ্টি জোগাতে সহায়ক।